1. protidinsangbad16@gmail.com : Obaidul Islam : Obaidul Islam
  2. ssexpressit@gmail.com : protidins :
সর্বশেষ :

যশোরে দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার ১

  • আপডেট সময় : বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫

যশোর সদর উপজেলা ও মণিপুরে পৃথক ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সদর উজেলায় বাক প্রতিবন্ধী ভিখারির স্কুলছাত্রী মেয়ে ও মণিরামপুরে নাতনিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মণিরামপুরের ঘটনায় অভিযুক্ত দাদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর ভিখারির মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।মঙ্গলবার এ দুটি ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হয়।

সদর উপজেলার চুড়ামনকাটিতে বাক প্রতিবন্ধী ভিখারির শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। পরিবারটির অভিযোগ, প্রতিবেশী আব্দুর রহমান তাদের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে।

ভুক্তভোগীর পরিবার বলছে, চুড়ামনকাটি বাজারের একটি চাতালে ১১ বছরের মেয়েকে নিয়ে বাস করেন বাক প্রতিবন্ধী ভিখারি নারী। ভিক্ষার জন্য সারাদিন মেয়েটির মা বাড়ির বাইরে থাকে। এ সুযোগে প্রতিবেশী আব্দুর রহমান ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে।ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী জানান, মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার কথা বলে আব্দুর রহমান তাকে কয়েকদিন ধরে নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছে। সবশেষ গত ১৫ মার্চ সন্ধ্যায় শিশুটির বাড়িতে রহমান গিয়ে মোবাইল ফোনের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। বিষয়টি মেয়েটি পরদিন তার মাকে জানায়। পরে ওই মা বিষয়টি স্থানীয় কয়েকজনকে জানান। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে আব্দুর রহমানের স্ত্রী ওই ভিক্ষুকের বাড়িতে এসে হুমকি দেয়।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল বলেন, ‘খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে এ ব্যাপারে এখনও কোনো অভিযোগ করেনি ভুক্তভোগী পরিবার।’

সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আব্দুর রউফ বলেন, ‘ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তকে আটকে পুলিশি অভিযান চালানো হচ্ছে। স্কুলছাত্রীর পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়ে আমারা সজাগ আছি।’

এদিকে, যশোরের মণিরামপুরে ১২ বছর বয়সি নাতনিকে ধর্ষণের অভিযোগে দাদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া লুৎফর রহমান গাজী (৬০) মণিরামপুর সদর ইউনিয়নের হাজরাকাটি গ্রামের জামির আলীর ছেলে। সোমবার গভীর রাতে তাকে আটক করলেও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা ও আটকের বিষয়টি মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছে থানার ওসি নূর মোহাম্মদ গাজী।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শিশুটির বাবা শারীরিক প্রতিবন্ধী। তিন বছর আগে তাদের মা দুই ভাই-বোনকে ফেলে চলে যান। মাসখানেক আগে দাদা লুৎফর গাজী একবার শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এছাড়া একাধিকবার তিনি শিশুটিকে যৌন হয়রানি করেছে। বিষয়টি পরিবারের লোকজন জানার পর পারিবারিকভাবে লুৎফর গাজীকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে।

গত রোববার শিশুটির চাচাতো নানী তাদের দেখতে আসে। মেয়েটি দাদার বাড়িতে থাকতে আপত্তি তুলে নানীর সঙ্গে চলে যেতে চায়। নানী কারণ জানতে চাইলে সে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা বলে। এলাকায় তা ছড়িয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ওই বৃদ্ধকে আটক করে।

মামলার বাদি শিশুটির চাচাতো নানী বলেন, ‘নাতনি আমাকে বলে, তার দাদা শরীরে খারাপভাবে স্পর্শ করে। আগেও এমন করেছে। এটা শোনার পর আমি আমার জামাইকে বিষয়টা জানায়। তিনি এলাকাবাসীকে নিয়ে লুৎফর রহমানকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।’

এ বিষয়ে মণিরামপুর থানার ওসি নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে তুলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন